Wednesday, April 16, 2025

রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে খুনিরা, নেপথ্যে যে কারণ

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মুদি দোকানি রইস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, রইসের লুট হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব জানিয়েছেন।

নিহত রইস উদ্দিন কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় নলুয়া বাজারে তার মুদি দোকান ছিল। আর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— একই গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মো. মামুন (২৮) ও একই উপজেলার জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে মো. জয়নাল শেখ (৫০)।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম আদালতে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরো বলেছি এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ব্যারিস্টার সুমনের ২ দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, রইস উদ্দিন পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর তিনি দোকান থেকে বাড়ি না ফিরলে আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজখবর করেন, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পান। ৮ নভেম্বর তার ছেলে দুলাল হোসেন শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভারী বৃষ্টিতে নদী উপচে পড়ছে পানি, সড়কে ঘুরছে বিশাল কুমির

এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুজনকে ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে মো. কামরুজ্জামান বলেন, মামুন ও জয়নাল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা রইসের দোকানে বসে মাঝে মাঝে আড্ডা দিতেন। তারা রইসের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। ৩ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে তারা রইসকে অনুসরণ করেন। রইস বাড়ি যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে মামুন এবং জয়নাল তাকে ডাক দেয়। এরপর তারা রইসকে গলা কেটে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবি শিবির সভাপতিকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা, বিতর্ক

ঘরে তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নেয় মামুন। এরপর রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়। তারপর লুটের টাকার মধ্যে থেকে মামুন নিজে ১০ হাজার টাকা নেয় এবং জয়নালকে ৬ হাজার টাকা দেয়। এরপর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ