Friday, August 1, 2025

আমার বন্ধু মেজর জিয়া বেঁচে আছে: চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত

আরও পড়ুন

সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জীবিত আছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রথম স্পোর্টস-ফিল্ম নির্মাতাখ্যাত খিজির হায়াত খান।

ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে খিজির হায়াত খান লেখেন, ‘আমার বন্ধু মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বেঁচে আছে আলহামদুলিল্লাহ। শেখ হাসিনার সরকার ওকে জঙ্গী আখ্যা দিয়ে মারতে পারে নাই। লেটস ব্রিং আওয়ার বয় ব্যাক টু লাইফ উইথ অনার বাংলাদেশ। তার ১১ বছরের ফেরারি জীবনের অবসান হোক। ব্যস, এটুকুই চাই।’

আরও পড়ুনঃ  রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি

একই পোস্টে তিনি একটি লিংক শেয়ার করেন। সেখানে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন একটি ভিডিও বার্তা দেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনিও লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ মেজর জিয়া ৪১ লং কোর্স, যাকে হাসিনা সরকার জঙ্গী ট্যাগ দিয়েছিল সে জীবিত আছে।’

এর আগে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ সরকার মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে চাকরিচ্যুত করে। এ ছাড়া তিনি ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে দাবি করা হয়। তখন সরকার তাকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও দেয়।

আরও পড়ুনঃ  সকাল ১০টায় শাহবাগে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের

তথ্যমতে, ২০১২ সালে সেনাবাহিনীতে একটি ‘ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টা’র পর প্রথম আলোচনায় আসে মেজর জিয়ার নাম। সেই অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেপ্তারের পর জিয়াউল হকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে গোয়েন্দারা।

তখন গোয়েন্দারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত ৯ জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন এই সেনা কর্মকর্তা। আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ