Wednesday, September 17, 2025

কাঁদতে কাঁদতে আদালতে: শুনানি শেষে ব্যারিস্টার সুমন বললেন ‘সরি’

আরও পড়ুন

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে রিমান্ড শুনানিতে আদালতে আনা হলে তাকে কান্নারত দেখা যায়। এসময় তার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়। টিস্যু দিয়ে তাকে চোখ মুছতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে ব্যারিস্টার সুমনকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আনা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম তাকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

আরও পড়ুনঃ  অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে গ্রেনেড হামলা, স্ট্রোক করেন আইনপ্রণেতা

বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চোর চোর বলে চিৎকার করেন। এজলাসে প্রবেশের আগেই তাকে কান্নারত ও চোখ মুখ লাল অবস্থায় দেখা যায়। আদালতে উপস্থিত তার সমর্থকদের ইশারায় চুপ থাকতে বলেন। এসময় টিস্যু দিয়ে চোখ মুছেন তিনি।

প্রায় ৩০ মিনিট আদালতের রিমান্ড শুনানি হয়। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। কোন কথা বলেননি। শুনানির বিভিন্ন পর্যায়েও তাকে বিভিন্ন কটু কথা বলা হয়। তবে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানে ১৫ দিন বয়সি মেয়েকে জীবন্ত দাফন করায় বাবাকে গ্রেপ্তার

শুনানি শেষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এজলাস থেকে বের হতে গেলে ব্যারিস্টার সুমন তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাকে কথা বলার জন্য কাছে ডাকেন। ফারুকী তার ডাকে সাড়া দেননি।

তখন সুমন বলেন, মামলার কোন বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলবো না। রিমান্ড শুনানি ও আদেশ তো হয়ে গেছে। তারপরও ফারুকী তাকে না বলে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় ব্যারিস্টার সুমন আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বললেন ‘সরি’। এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে তাকে এজলাস থেকে বের করে ফের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ