Tuesday, September 16, 2025

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কাউসার অবশেষে হার মানলেন

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭০ দিন চিকিৎসারত থাকার পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউসার মাহমুদ। গত রোববার রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। বন্দর নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলী এলাকায় বেড়ে ওঠা কাউসার লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবা আব্দুল মোতালেবের মুদির দোকানে সময় দিতেন।

কাউসারের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরায়। বাবা আব্দুল মোতালেব পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘সব প্রতি*ষ্ঠানে কোর*আন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে’

জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। ‘আসছে ফাগুন দ্বিগুণ নয়, ১৬ কোটি হবো’ ছিল কাউসারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস। ৪ আগস্ট নিউমার্কেট চত্বরে ছাত্র-জনতা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে জমায়েত হন।

ওইদিন পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাউসার। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় নগরের আগ্রাবাদে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, মারধরে গুরুতর আহত কাউসারের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  ব্রেকিং নিউজ: সরকারের জরুরী নির্দেশনা জা’রি!

এরপর সেখান থেকে ২২ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে থাকাকালীন তার শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চট্টগ্রাম সেনানিবাসকে জানায়।

পরে তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএইচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয়। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাউসার মাহমুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে এশার নামাজ শেষে নগরের আগ্রাবাদ এলাকার সরকারি কমার্স কলেজের মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনঃ  আরও কাছাকাছি বাংলাদেশ-পাকিস্তান, নিরাপত্তা উদ্বেগে ভারত

কাউসারের বন্ধু অনিক হাসান বলেন, পড়ালেখায় মেধাবী ছিল কাউসার। তার কোনো অহংকার ছিল না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কাউসারের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তার অভাব কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। তার স্মৃতি নিয়েই এখন বাঁচবে পরিবার, বাঁচব আমরা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ