Monday, April 7, 2025

নাটোরে মারধরের ৩ দিন পর মারা গেলেন ছাত্রলীগ নেতা

আরও পড়ুন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটে আহত নাটোর শহর (পৌর) ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম হৃদয় মারা গেছেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মারধরের ৩ দিন পর সোমবার (৮ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিগারেট কেনা নিয়ে নাটোর শহরের হরিশপুর চেয়ারম্যান রোড এলাকার রোকেয়া ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলাম মিঠুর ভগ্নিপতি রেন্টুর সঙ্গে হৃদয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনায় মিঠু ও তার পরিবারের সদস্যরা হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে আসে। শুক্রবারে হৃদয় জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে সেখানেও তাকে মারধর করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপির সঙ্গে জরুরী বৈঠকে সমন্বয়করা, সিদ্ধান্ত হলো যে বিষয়ে

আহত অবস্থায় হদয় ওই দিন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাহেরপুর এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সোমবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠু আত্মগোপনে চলে যান।

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, প্রথমে আমরা জেনেছিলাম অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তার বাড়িতে গেলে জানতে পারি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মিঠু নামের এক লোক হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। পরে উল্টো হৃদয়ের নামে থানায় অভিযোগ দেয়।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হাম*লায় আ*হত ওসিসহ ৩ পুলিশ

হৃদয় আহত অবস্থায় তার আত্মীয়র বাড়িতে যায় এবং সেখানে আরো অসুস্থ হলে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এখন পরিবারের ধারণা, ওই হামলার জেরেই আহত হয়ে হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে।

ফরহাদ বিন আজিজ আরও বলেন, মরদেহর ময়নতদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। সত্যিই যদি মারধরের ঘটনায় মৃত্যু হয় তাহলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করব। সেই সঙ্গে সাংগঠনিকভাবেও কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে এমপি আনারকে খুন করান বন্ধু

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মৃত্যু নিয়ে যেহেতু একটা প্রশ্ন উঠেছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের কথা শুনলাম। তবে এই ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ