Tuesday, September 16, 2025

হঠাৎ বিকট শব্দে ক্লাসরুমে ধসে পড়ল ভীমসহ পলেস্তরা, আহত ৫

আরও পড়ুন

ঝালকাঠিতে ক্লাস চলাকালীন স্কুলের ছাদের পলেস্তরাসহ ভীম ধসে পড়ে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) রাজাপুর উপজেলার ৩নং পূর্ব সাতুরিয়াা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুমে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।আহত শিক্ষার্থীরা হলো- পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ আজম, লিটন খান, রনি হাওলাদার, আব্দুল্লাহ এবং তামিম। আহতরা সবাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ, তারিম ও লিটন জানায়, আগ থেকেই কম বেশি পলেস্তরা ভেঙে পড়তো। রোববার ক্লাস চলাকালীন পৌনে ১১ টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ভীমসহ অনেক স্থানের পলেস্তরা ধসে পড়ে। এতে ৫ শিক্ষার্থীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং আতঙ্কিত হয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটোছুটি শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ  স্ত্রীকে নকল সরবরাহের দায়ে স্বামীর ২ বছরের কারাদণ্ড

আহত শিক্ষার্থী জুনায়েদ, তারিম ও লিটন জানায়, আগ থেকেই কম বেশি পলেস্তরা ভেঙে পড়তো। রোববার ক্লাস চলাকালীন পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দ হঠাৎ ভীমসহ অনেক স্থানের পলেস্তরা ধসে পড়ে। এতে ৫ শিক্ষার্থীর মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং আতঙ্কিত হয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটোছুটি শুরু করে।

অভিভাবক হানিফ, কবির ও সুলতান জানায়, অনেক দিন ধরেই পলেস্তরা ভেঙে পড়তো। কিন্তু কারও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এভাবে হঠাৎ ভীম ভেঙে পড়ার পর ওই স্কুলে আর কোনো পড়াশোনার পরিবেশ নেই। আল্লাহ কোমলমতি শিশুদের বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আজকে বড় রকমের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতো। তারা আরও জানায়, নতুন করে স্কুলের ভবন নির্মাণ না করা পর্যন্ত ওই স্কুলে আর বাচ্চাদের পাঠাবো না। আজ থেকেই ওদের ক্লাস বর্জন করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  ইসলামি ছাত্র শিবিরের নতুন সভা*পতি জাহিদুল ইসলাম

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০০৪ সালে পিডিটু প্রকল্পের আওতায় স্কুলের এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। ২/৩ বছর ধরেই বিভিন্নস্থানের পলেস্তরা খসে পড়া দেখে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলাম তারা মাঝে মাঝে এসে ঘুরে দেখে যেতেন কিন্তু ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা না করায় ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ভবনটি এখন খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বড় রকমের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। কোনোভাবেই এ স্কুলে ক্লাস করার পরিবেশ নেই।

আরও পড়ুনঃ  রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক

এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি শুনে ভিডিও কলে দেখেছি ওখানে যাওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষককে একটি আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং ওই কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দিতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ওখানে না যায়। স্কুলটি পরিদর্শন করার পর ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ