Sunday, June 15, 2025

ছুটি চেয়েও পাননি, কর্মরত অবস্থায় প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষকের

আরও পড়ুন

নেত্রকোণার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা আব্দুর রাজ্জাক দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মো. মনজুরুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে সুপারের কাছে ছুটি চেয়েও ছুটি পাননি তিনি। অবশেষে কর্মরত অবস্থায় মাদ্রাসার টয়লেটে প্রাণ গেল শিক্ষক মনজুরুলের।

কেন্দুয়া উপজেলার বালিজুড়া গ্রামের মৃত তাহের আলী ছেলে মো. মনজুরুল হক। প্রতিদিনের মতো বুধবার মাদ্রাসায় আসেন তিনি। কিন্তু দুপুরের দিকে তিনি তীব্র শারীরিক অসুস্থ অনুভব করেন। এমতাবস্থায় টয়লেটে যান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  বাবা-মা ও ভাইয়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল

এদিকে, তার ছোট ছেলে জুনায়েদ (০৭) দুপুর ১টার দিকে তার বাবাকে খুঁজে মাদ্রাসায় আসলে সুপার তাকে জানায় তার বাবা টয়লেটে গেছেন।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর জুনায়দে টয়লেটে গিয়ে দেখে তার বাবা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তার চিৎকার শুনে সুপার বজলুর রহমান গিয়ে সহকারী শিক্ষক হাফেজ মো. মনজুরুল হককে অচেতন অবস্থায় শ্রেণি কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয় মৃতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলো। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসার জন্য বারবার ছুটি চাইলেও আমার স্বামীকে সুপার ছুটি দেয়নি।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার মো. বজলুর রহমান জানান, সহকারী শিক্ষক হাফেজ মো. মনজুরুল হক আমার কাছে ছুটির জন্য আবেদন কোনো লিখিত আবেদন করেননি।

সভাপতি মো. আরজু মিয়া জানান, মৃত সহকারী শিক্ষক চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়েও যে ছুটি পায়নি এ বিষয়টি তার স্ত্রী আজ আমাকে অবগত করেছেন। চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে একজন শিক্ষক মারা গেলো তা খুবই দুঃখজনক।

জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মৃত হাফেজ মো. মনজুরুল হক চিকিৎসার জন্য সুপারের নিকট ছুটি চেয়েছিলেন, এমন বিষয়ে মৃতের স্ত্রী বা অন্য কেউ এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ