Saturday, June 14, 2025

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বিএনপিকে দায়ী করলেন ওবায়দুল কাদের

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে মজুতদার ও সিন্ডিকেটদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন পালন করছে, মজুদদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে – একথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে তারা বিএনপির পুরনো সিন্ডিকেট।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে -এ কথা মনে করার কোন কারণ নেই। যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ  বরি*শালে বিএনপির কমি*টিতে আ.লীগের নেতা*কর্মীরা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে চাই তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে।

ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে এবং সেখানে বিদ্যুতের দাম পাঁচ বছরে তারা ৯ বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার সাতশ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘শিগগিরই বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে’

বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির উপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে।

বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হোন আর যেই হোন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাল ছাত্রশিবির

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ