Wednesday, June 11, 2025

জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি নিয়ে সন্দেহ নৌ-প্রতিমন্ত্রীর

আরও পড়ুন

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করার জন্য মুক্তিপণ হিসেবে ডলার ভর্তি ব্যাগ সাগরে ফেলার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার দাবি, জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের মুক্ত করতে মুক্তিপণ লেগেছে এমন কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার ছবির প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও এডিট করা হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ  চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। ডলারের মতো এত দামি জিনিস যে পানিতে ফেলে, তা জানা ছিল না!’

তিনি বলেন, ‘এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌এমন ছবি তো আমরা অনেক সিনেমায় দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’

জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়া জাহাজ ও নাবিকদের সবশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে এরপর তিনি বলেন, জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। আগামী ১৯ বা ২০ এপ্রিল গিয়ে এটি সেখানে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবেন, নাকি তারা ফিরে আসবেন।

আরও পড়ুনঃ  এক ডিভাইসের তথ্যে জলদস্যুর কবলে এমভি আব্দুল্লাহ

তিনি যোগ করেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছেন। গতকালকে আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের স্থালাভিসিক্ত কারা হবে সেটা নিয়েও হয়তো মালিকপক্ষ কাজ করছে।

এরপর আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন নিরাপদ করা প্রসঙ্গে খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা আইএমওর (আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থা) সি ক্যাটাগরি সদস্য। আমরা একটা প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যেটা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। আইএমওতে যে ১৭৪টা দেশ আছে তাদের কাছে আমরা একটা প্রস্তাবনা দেব, কীভাবে আমাদের সমুদ্রপথটাকে নিরাপদ রাখতে পারি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ