Saturday, April 12, 2025

বৈধ পথে ইউরোপ প্রবেশে সুখবর

আরও পড়ুন

দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর এজন্য এবার কঠোর নীতি আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। তবে, নতুন নীতিতে বৈধ পথে প্রবেশকারীদের জন্য আছে বড় সুখবর।

গত বুধবার (১০ এপ্রিল) অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নিয়ম কঠিন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। দীর্ঘদিন আলোচনার পর জোটভুক্ত ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটের মাধ্যমে নতুন এই অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নীতি অনুমোদিত হয়েছে।

নতুন এই নীতি অনুযায়ী, দ্রুততার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়া শেষ করা হবে আগামীতে। নীতিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ পথে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনে। অন্যান্য ইইউভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রগুলোকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে অথবা প্রবেশকারী অভিবাসীদের একটি অংশকে নিজেরা আশ্রয় দেবে।

আরও পড়ুনঃ  শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণ করলেন রেলের এই মহাব্যবস্থাপক

নতুন নীতি অনুযায়ী, যেসব প্রবেশকারীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের সম্ভাবনা কম, মূল ইউরোপে প্রবেশের আগেই তাদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হবে, তাদের পরবর্তী ১২ সপ্তাহের মধ্যে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে যারা প্রবেশ করবে, এমন ছয় বছরের বেশি প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষণ করা হবে।

বলা হচ্ছে, নতুন এই নীতি পুরোপুরি কার্যকর হলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে বৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করা আগের চেয়ে যথেষ্ট সহজ হবে এবং একইসঙ্গে অবৈধ পথে প্রবেশ কঠিন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  বই বিক্রির অর্থ মসজিদ নির্মাণে দিলেন সঙ্গীতশিল্পী তাশরিফ

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পুরো বিষয়টিকে অবৈধভাবে না যাওয়ার একটি প্রণোদনা হিসাবে দেখা যেতে পারে। এটি একটি ভালো ও বাস্তবধর্মী পন্থা। সবার জন্যই লাভজনক হবে এই নীতি।’

এদিকে ইউরোপসহ সব দেশে বৈধ পথে লোক পাঠাতে চায় বাংলাদেশ সরকারও। একইসঙ্গে অবৈধদের ফেরত নিয়ে আসতে চায় সরকার। এ বিবেচনায় ইউরোপের নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতির মিল আছে।

ইউরোপ থেকে অবৈধদের ফেরত আনার জন্য ইইউ’র সঙ্গে ২০১৮ সালে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিওর (এসওপি) সই করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তিটি ভালো কাজ করছে এবং এর ফলে ইতোমধ্যে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুনঃ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির হাতে ভারতীয় অস্ত্র আটক

এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। ইউরোপের দেশগুলো অনেকের সঙ্গে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এখন তাদের অর্থনীতি চাঙা আছে। তাদের শ্রমিকের প্রয়োজন আছে। তাদের নিজস্ব শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। সব মিলিয়ে তারা একটি বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশেরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। নিজেদের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে সেই প্রচেষ্টায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ