Sunday, September 14, 2025

ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় বাস ছেড়ে কুমিল্লায় এলাম ১২টায়

আরও পড়ুন

সকাল ৭টার সময় ঢাকার কমলাপুর থেকে গাড়ি ছেড়েছি। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এসেছি দুপুর ১২টায়। ৫ ঘণ্টা লেগেছে কুমিল্লায় আসতে। অথচ দেড় থেকে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার পথ। সড়কে প্রচুর জ্যাম। বিশেষ করে ঢাকা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত জ্যামের তীব্রতা বেশি।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন মো. মহসিন নামের তিশা প্লাস বাসের এক চালক।

চালক মহসিন বলেন, ঢাকার কমলাপুর থেকে সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁও এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার শেষ অংশ পর্যন্ত প্রচুর জ্যাম। দাউদকান্দি থেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার। তবে গৌরিপুর ও চান্দিনা এলাকায় হালকা জ্যাম ছিল।

আরও পড়ুনঃ  মসজিদের পানির পাম্প নিজের বাড়িতে বসালেন যুবলীগ নেতা

তিনি বলেন, আমরা সারা বছর ঈদের অপেক্ষায় থাকি যে, ঈদে একটু বেশি ট্রিপ মারতে পারব… এতে একটু বেশি আয় হবে। কিন্তু দিনের অর্ধেক সময় শেষ মাত্র একটা ট্রিপ নিয়ে কুমিল্লায় এসেছি। এমন অবস্থা থাকলে দিনে সর্বোচ্চ দুইটি ট্রিপ মারতে পারব।

এ বাস থেকে নামা আলম হোসেন নামের এক যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাই সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে দুপুর ১২টায় কুমিল্লায় এসেছি। দাউদকান্দির আগ পর্যন্ত প্রচুর জ্যাম। রোজায় গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে অবস্থা বেগতিক।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি আইএসআই দ্বারা পরিচালিত: শাহরিয়ার কবির

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ ফাঁকা রয়েছে। তবে মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের জ্যাম থাকলেও তার কারণ আমি জানি না। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ ফাঁকা রাখার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ