ভারতের কর্ণাটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক ইসরায়েলি নারী পর্যটক। তার সঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিদেশি পর্যটককে আশ্রয় দেয়া হোম স্টে’র মালিক আরেক নারী। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৭ বছর বয়সী ইসরায়েলি পর্যটক ও ২৯ বছর বয়সী স্থানীয় নারী তুঙ্গভদ্রা খালের পাশে বসে আকাশে তারা দেখছিলেন। এ সময় তিন পুরুষ এসে তাদের ধর্ষণ করেন।
জানা যায়, ওই বাড়ির মালিক ও তার চার অতিথি রাতের খাবারের পর খালের পাড়ে তারা দেখতে গিয়েছিলেন। এমন সময় তিন অভিযুক্ত একটি মোটরসাইকেলে করে সেখানে আসেন। প্রথমে তারা পেট্রল কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চান এবং পরে ইসরায়েলি নারীর কাছে ১শ’ রুপি দাবি করেন।
ইসরায়েলি পর্যটক টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর অভিযুক্তরা ভ্রমণকারীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের সঙ্গে থাকা তিন পুরুষ পর্যটককে ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেন। পরে তারা দুই নারীকে ধর্ষণ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান।
ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের সঙ্গে থাকা তিনজন পর্যটকের একজন ড্যানিয়েল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, বাকি দুজন যথাক্রমে মহারাষ্ট্র ও ওডিশার বাসিন্দা। তারা খালে পড়ে গেলেও গুরুতর আহত হননি।
কোপ্পালের পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কোপ্পালের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রাম এল আরাসিড্ডি জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দাখিল করার পর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। এ ঘটনায় দুটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় রাজ্য ও দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং পর্যটন নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।