Saturday, April 12, 2025

মসজিদের মাইকে ঘো*ষণা দিয়ে ছাত্রদলের দুগ্রুপের সংঘ*র্ষ, আহত ৩০

আরও পড়ুন

পাবনার বেড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ সেনাবাহিনীর তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেড়া বাজার এলাকার কাদের ডাক্তারের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেড়ায় বেশ কয়েকটি মিছিল বের হয়। দুপুরে দুদিক থেকে আসা দুটি মিছিল কাদের ডাক্তারের মোড়ে এসে পৌঁছালে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে মসজিদে মাইকিং করে উপজেলার পৌর এলাকার হাতিগাড়া ও বনগ্রাম সওদাগর পাড়ার মধ্যে এলাকাভিত্তিক সংঘর্ষে রূপ নেয়।

আরও পড়ুনঃ  ‘তৌহিদ আমার সর্বনাশ করেছে, বিয়ে না করলে বাড়ি থেকে বের হব না’

এ সময় দেশীয় নানা অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের উপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।

সংঘর্ষে লিপ্ত দুটি মিছিলের একটির নেতৃত্বে বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুরাদ ও অন্যটির নেতৃত্বে পৌর ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রান্ত সওদাগর ও ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক বক্কার ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

বর্তমানে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে বেড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ উভয়পক্ষের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন বনগ্রাম মহল্লার রাহাত সওদাগর ও আবু হানিফকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে’

অন্যান্য আহতদের মধ্যে সাকিল, তুষার সওদাগর, রাসেল, শাহজাহান, আয়মান, মনিরুল, কাওসার, ইমরান, সোলাইমান শেখ ও ইয়াছিনসহ অন্তত ২০-৩০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা পৌর এলাকার বনগ্রাম হাতিগাড়া ও শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দুই প্ল্যাটুন সদস্য ও বেড়া সাঁথিয়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

বেড়া থানার ওসি অলিউর রহমান জানান, বেড়া-সাঁথিয়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুই প্ল্যাটুন সদস্য উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তারা এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  পরাজয় মেনে নিলেন শেখ হাসিনা

তবে সংঘর্ষকে দলীয় ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।

বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মানিক হোসেন বলেন, ‘দুই গ্রামের ছেলেদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুদল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ