ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম আদালতে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরো বলেছি এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ব্যারিস্টার সুমনের ২ দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন রায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
পিপি জানান, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ছাড়া গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।
এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের রিমান্ড শুনানির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবেক এই সংসদ সদস্যকে বুধবার হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।