যুবলীগ নেতাকে বিএনপি কর্মী বানিয়ে দল থেকে বহিস্কার করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাহাজিরা গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য নাজমুল হাসান মিঠু এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ২৭ অক্টোবর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গৌরনদী পৌরসভার তিন বিএনপি নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে মর্মে পত্র ইস্যু করা হয়।
দীর্ঘদিন পর তিনি (মিঠু) শনিবার বাড়িতে এসে জানতে পারেন দুই বিএনপি নেতার সাথে তাকেও বিএনপি নেতা বানিয়ে বহিস্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি হাস্যকর উল্লেখ করে নাজমুল হাসান মিঠু বলেন, আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। জীবনে কোনদিন বিএনপি কিংবা অন্যদল করিনি। শুরু থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছি।
এমনকি জীবনে যতোদিন বেঁচে আছি মনে প্রানে আমি আওয়ামী লীগকে ভালবাসি। এরপরেও আমাকে কিভাবে বিএনপি কর্মী বানিয়ে বহিস্কার করা হলো তা বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, মূলত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সমন্ময়হীতনার অভাব রয়েছে। এজন্যই এমনটা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, দলীয় অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরধরে গত ২২ অক্টোবর রাতে নাটকীয়ভাবে গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন শরীফকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করেন।
এ বিষয়ে তাকে (জাকির) কারণ দর্শানোর জন্য গত ২৫ অক্টোবর নোটিশ করেন জেলা উত্তর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ওই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় ছিলো ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এরমধ্যে তিনি নোটিশের লিখিত জবাবও দিয়েছেন।
কিন্তু এরমধ্যেই দলের হাইকমান্ড থেকে বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপি কিংবা উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ না করেই স্থানীয় এক কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার প্ররোচনায় গত ২৭ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পৌর বিএনপির আহবায়ক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ জাকির হোসেন শরীফ, সদস্য ফরহাদ শরীফ ও নাজমুল হাসান মিঠুকে বহিস্কার করা হয়।
এরমধ্যে নাজমুল হাসান মিঠু যুবলীগের রাজনিতীতে সরাসরি যুক্ত। তার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশের পর সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।