Thursday, April 17, 2025

জরুরি ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

আরও পড়ুন

চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র বলছে, রোববার (১১ আগস্ট) থেকে বিচার কাজ শুরু হবে কি না। অথবা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ বিষয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আন্দোলনে যে দাবি করেছে সেটিও আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

এর আগে গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার আগে এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেন রাষ্ট্রপতি। যেখানে রুলিং দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিকেই সঠিক পন্থা বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের অফিসে ভুয়া ভুয়া স্লোগান, সভা পণ্ড!

৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এতে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়। রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলে সংকট আরও বাড়ে। এর আগে এমনভাবে সাংবিধানিক সংকট রেখে দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তাদের শপথ নেয়ার আগেই এর আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র একাধিক আইনজীবীর মতামত নেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামান।

যাতে উঠে আসে, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের রুলিং নিলেই কেবল সাংবিধানিক সংকট কাটবে। নতুন সরকার শপথ নিলে কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে কি না সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই মতামত চেয়ে পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ বিষয়ে নজিরবিহীনভাবে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় ভার্চুয়ালি বসে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে অংশ নেন নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রদের ওপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দিতে বলেছিলেন কয়েকজন শিল্পী

প্রায় ঘণ্টাখানেক শুনানি শেষে ১৭ পৃষ্ঠার রুলিং দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বলেন, শপথ নেয়ার ৭ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে গেছেন। এ মুহূর্তে দেশে একটি মধ্যবর্তী সরকার দরকার। কাজেই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। আদেশে আপিল বিভাগ আরও বলেন, দুর্যোগ মুহূর্তে এমনটি হতে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তাই এ বৈধতা দেয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ