পাবনা করেসপনডেন্ট:
পাবনার আমিনপুরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর স্বামী ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে, ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আমিনপুরের সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর কেষ্টপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন– চর কেষ্টপুরের মাজেদ প্রামানিকের ছেলে সেলিম প্রামাণিক (২৩), একই এলাকার শরীফ (২৪), আনিছ সরদারের ছেলে রাজীব সরদার (২১), তালেব মন্ডলের ছেলে রুহুল মন্ডল (২৬), শফিক সরদারের ছেলে লালন সরদার (২০) ও শামসুলের ছেলে সিরাজুল (২৩)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চর কেষ্টপুর গ্রামে আয়োজিত একটি ওয়াজ মাহফিলের ডেকোরেশনের দায়িত্বে ছিলেন ভুক্তভোগী গৃহবধুর স্বামী। ওই রাতে টাকার প্রয়োজনে ও ওয়াজ মাহফিল শুনতে ভাগিনাকে নিয়ে সেখানে যান ভুক্তভোগী।
ওয়াজ মাহফিল শেষে রাত দেড়টার দিকে ভ্যানে করে পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর গ্রামে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে তাদের ভ্যানে ওঠে এক যুবক। কিছু দূর যাওয়ার পর ভ্যান থামিয়ে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ওই যুবক। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী জানালেও ভুক্তভোগীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে মুঠোফোনে ডাকা হয় আরও কয়েকজনকে।
ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেলিম প্রামাণিক, শরীফ হোসেন, রাজীব সরদার, রুহুল মন্ডল, লালন সরদার ও সিরাজুল ইসলাম। পরে তারা গৃহবধুর স্বামীকে আটকে রাখে এবং গৃহবধুকে একটি ভুট্টো ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গৃহবধুর স্বামী ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে পালিয়ে যায় তারা।
পল্লী চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন কাদেরী বলেন, স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। পরে ভুক্তভোগী নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ভুক্তভোগীর দাবি, তাদের বিয়ে হয় ছয় মাস আগে। এছাড়া, সে আড়াই মাস বা তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিল। এ ঘটনায় তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলেও দাবি তার।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, অভিযুক্তরা সবাই পলাতক আছেন। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।