Friday, August 1, 2025

আদালত প্রাঙ্গণে আবেদ বললেন, ‘শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি বিয়ে করতে’

আরও পড়ুন

আদালত প্রাঙ্গণে আবেদ বললেন, ‘শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি বিয়ে করতে’

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ছয় আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আবু সোলায়মান মো. সোহেল নামে এক আসামি স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পরে জবানবন্দি শেষে আসামি আবেদকে আদালত থেকে নিচে নামানো হয়। তখন তিনি টুপি দিয়ে মুখ ডেকে নানা কথা বলতে থাকেন। কী বলছেন জিজ্ঞাসা করলে প্রতি উত্তরে তিনি জানান, ‘শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি, বিয়ে করতে।’

এদিন গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আরও পড়ুনঃ  আও'য়ামী লী'গের প্রতিবিপ্লব ক'রা'র ক্ষম'তা নেই: মাহ'বুব উদ্দিন খো'কন

আবেদন বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিরা গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক আয়োজিত পরীক্ষার নাম- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বাংলাদেশ রেলওয়ে), পদের নাম সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন-ক্যাডার)-এর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পরীক্ষার হুবহু প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একদল সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন-ক্যাডার) পদে নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষার্থীর নিকট অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুনঃ  চাকরিতে বেশি বেতন নয়, কাজকে উপভোগ করা দরকার

এদিকে, জবানবন্দি দিতে সম্মত ছাড়া অপর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। পরে ১০ আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত ১০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দায় স্বীকার করা অপর আসামিরা হলেন- অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।

আরও পড়ুনঃ  বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রী-এমপিসহ হাইপ্রোফাইলদের

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, দীপক বনিক, মো. খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, একে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মো. গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ পলাতক রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ