Thursday, January 23, 2025

মোবাইলে মেসেজ ‘আনার শেষ, মনোনয়ন কনফার্ম’ তদন্তে নতুন মোড়

আরও পড়ুন

ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সঙ্গে ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তার সন্দেহ, বাবার হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা জড়িত।

ডরিন বলেছেন, ‘আকতারুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে আমার বাবার কোনো ব্যবসা ছিল না। সে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু না।

ডরিন বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে আমার বাবার বিরুদ্ধে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচা। তার সঙ্গে আমার বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধিতা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নতুন প্রকল্প বের করার তাগাদা দিতেন হাসিনার পরিবার: সালমান এফ রহমান

এমনকি সেই নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাকে সন্দেহ হচ্ছে আমার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার। এখন অনেকের নাম আসছে আমার বাবার কিলারদের অর্থ জোগান দিয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের সামনে নিয়ে আসা হোক।

প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা অত্যন্ত দক্ষ। আমার বাবা হত্যাকে ভিন্ন খাতে নিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচার কয়েকজন কাছের অনুসারী পাঁয়তারা করছে। সেদিকে নজর দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।

আরও পড়ুনঃ  সায়েন্সল্যাবে রামদা-লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

মামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকায় থাকা জিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ডিবি।

তিনি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।

গতকাল বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির একটি দল।

আরও পড়ুনঃ  আন্দোলন নিয়ে শিক্ষকের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল

আনার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঝিনাইদহের একাধিক নেতার মোবাইলে ‘মিশন সফল’ জানিয়ে আকতারুজ্জামান শাহিন খুদে বার্তা পাঠান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, আনার হত্যাকাণ্ডের পর সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে শিমুল ভূঁইয়া শাহীনের মোবাইলে ছবি পাঠান। যেসব ছবি শাহীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুর মোবাইলে পাঠিয়ে বলেন, ‘আনার শেষ, মনোনয়ন কনফার্ম’।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ