পাকিস্তানে জোট সরকার গঠন নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা করে আসছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল। কয়েক দফা আলোচনা শেষে সমঝোতায় আসার ঘোষণাও দিয়েছে দল দুটি। এখন তাদের আলোচনা ক্ষমতা ভাগাভাগির মধ্যে আটকে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ভাগ-বাটোয়ারায় বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল। ফলে জাট গঠন নিয়ে দুদলের আলোচনার মধ্যে অচলাবস্থার দেখা দিতে পারে। খবর দ্য ডনের।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বিলাওয়াল বলেছেন, তিনি ও তার দল পিপিপি তাদের অবস্থানে অনড়। যদি কেউ নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে তিনিও অবস্থান পরিবর্তন করবেন না।
তিনি বলেন, অন্য কেউ যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে চায় তবে অগ্রগতি হতে পারে। যদি তারা পরিবর্তন করতে রাজি না হয় তাহলে আমি বলছি একটা অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। এটি গণতন্ত্র বা সংসদীয় ব্যবস্থার জন্য উপকারী হবে না।
পিপিপির চেয়ারম্যান বলেন, পিএমএল-এন যদি আমার ভোট চাই তাহলে আমার শর্ত মানতে হবে। আমি তাদেরটা মানব না।
তিনি বলেন, গুরুত্বহীন কারণে সরকার গঠনে দেরি হচ্ছে। এটা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যত দ্রুত এটি সমাধান হবে, নতুন সরকারের জন্য তত ভালো হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রথম, পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে কোনো কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে জোট গঠন করে সরকারে আসার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হলেন শাহবাজ শরিফ। তাকে জাতীয় পরিষদে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিপিপি। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পদে বাবা আসিফ আলি জারদারির নাম ঘোষণা করেছেন বিলাওয়াল। তবে আসিফ আলিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে এখানো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানায়নি পিএমএল-এন।