Saturday, April 12, 2025

টেকনাফ ইউএনও ভ্রাম্যমান অভিযানে ৬৩৮ লিটার অকটেন জব্দ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

আরও পড়ুন

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন পৌরসভা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক ১১টি ড্রামে মোট ৬৩৮ লিটার অকটেন পাচারের অভিযোগে তিনজনকে আটক এবং ইউএনও, টেকনাফের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল (অকটেন) পাচারের অভিযোগে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়।

মিয়ানমারে অভ্যান্তরে খাদ্য ও জালানি তেল সংকটে কক্সবাজার জেলার সিমান্তে ও সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কতিপয় চোরাকারবারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে মর্মে তথ্য পায় র‌্যাব-১৫।

এই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার উক্ত চোরাকারবারী ও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার এবং পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন পৌরসভা এলাকায় অবস্থান করছে। বর্ণিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ১২.১৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের আভিযানিক দল অকটেন পাচারকারী চক্রের সদস্য

আরও পড়ুনঃ  মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা পাল্টে দিলেন গবেষকেরা

তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম রেখে পালানোর চেষ্টাকালে পলায়নপর তিনজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইউএনও, টেকনাফের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত তিন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারীরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ১১টি ড্রামে সর্বমোট ৬৩৮ (ছয়শত আটত্রিশ) লিটার অকটেন (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮৪,০০০/- টাকা) জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  কাবা তাওয়াফের পর স্ত্রীর সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, এর আগে যা বলেছিলেন

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন হাবিরছড়ার বাসিন্দা মৌলভী আব্দুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২২), ও টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যাং পাড়ার বাসিন্দা মৃত মীর মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেংগুরবুল এর বাসিন্দা মৃত আবুল কামলের ছেলে নুর হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয়।

প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো।

আরও পড়ুনঃ  ৯২ জন নি’হ’ত শুধু রাজধানী উত্তরায়-ই

পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে জ্বালানী তৈল পাচার করে থাকে। অদ্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানী তৈল অকটেন উক্ত স্থানে মজুদ করেছিল এবং একপর্যায়ে উপরোল্লিখিত আলামতসহ র‌্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।

সুত্রঃ একুশে বার্তা

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ