Thursday, April 10, 2025

চাঁদপুরে জাহাজে সাত খু*নের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন

আরও পড়ুন

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজে সংঘটিত সাত খুনের ঘটনার মূলহোতা আকাশ মন্ডল ইরফানকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১১ সিপিসি ২।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আকাশ মন্ডলকে বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ইরফানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।

গ্রেফতারকৃত আকাশ মন্ডল বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার জগদীশ মন্ডল ও মনিকা রানীর ছেলে। আকাশ পেশায় জাহাজের লস্কর। আট মাস ধরে সে এমভি-আল বাখেরা জাহাজে চাকরি করছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষার্থী গুপ্ত হ*ত্যার ঘটনায় ছাত্র*শিবিরের উদ্বেগ

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলা র‍্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান র‍্যাব ১১ সিপিসি ২ এর উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।

মেজর সাকিব জানান, আকাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার দুর্ব্যবহার, বেতন-বোনাসে অনিয়ম এবং কর্মচারীদের প্রতি অবহেলা তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এ থেকেই আকাশ প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর সে তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কিনে রাখেন।

পরে, ঘটনার দিন ২২ ডিসেম্বর রাতে আকাশ তরকারির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে মাস্টারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন। পরে অন্যরা টের পেয়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় সে একে একে ছয়জনকে হত্যা করেন।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম আদালতে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরো বলেছি এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান ব্যারিস্টার সুমনের ২ দিনের রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।

আকাশের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের পর সে নিজেই জাহাজ চালিয়ে মাঝিরচরে পৌঁছান। পরদিন সকালে ট্রলারে করে পালিয়ে যান এবং বাগেরহাটের চিতলমারিতে আত্মগোপন করেন।

র‍্যাব আরো জানায়, আকাশের কাছ থেকে রক্তমাখা জিন্স, মোবাইল ফোন, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো সহযোগী ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে চাঁদপুরের হাইমচরে এমভি-আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং একজনকে গুরুতর আহত করে৷ এ ঘটনায় চাঁদপুরের হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহতরা হলেন, গোলাম কিবরিয়া (৬০), শেখ সবুজ (৩৫), মোঃ সজীবুল ইসলাম (২৯), মাজেদুল ইসলাম (১৭), আমিনুর মুন্সি (৪১), সালাউদ্দিন (৪০) এবং রানা কাজী। আহত জুয়েল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ