নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত ও দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাইভেটকারটি থেকে বিয়ারের ক্যান ও মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ৮টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহতাসিম মাসুদ, অমিত সাহা ও মেহেদী হাসান। পরে তিন বন্ধু মিলে ৩০০ ফিট সড়কে ঘুরতে বের হন। সেখানে নীলা মার্কেটে তারা রাতের খাবার খান।
পরে বাসায় ফেরার সময় নীলা মার্কেটের অদূরে একটি পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেটকার সেই চেকপোস্ট অতিক্রম করে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা তিন বন্ধু আহত হন। পরে পথচারীরা তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। অমিতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মেহেদীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মুবিন আল মামুন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে এবং তিনিই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন। প্রাইভেট কারটির রেজিস্ট্রেশনও সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তার নামে। ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে এক ক্যান বিয়ার ও একটি খালি মদের বোতল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত মাসুদের পিতা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মাসুদ মিয়া।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ডোপ টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’