তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে এবং তাদের নেতাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন তারা। হামাসের সঙ্গে তুরস্কের কোনো গোপন নয় বরং প্রকাশ্য সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৯ মার্চ) ইস্তাম্বুলে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেছেন, “হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করতে কেউ আমাদের বাধ্য করতে পারবে না। তুরস্ক হলো সেই দেশ যেটি হামাসের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে এবং কঠোরভাবে তাদের সমর্থন করে।”
গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বেশিরভাগ নেতা তুরস্ক এবং কাতারে বসবাস করেন। তাদের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে এ দুটি দেশ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের শুরু থেকে গাজায় নির্বিচার বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলিরা। এসব বর্বরতার বিরুদ্ধে যেসব বিশ্বনেতা সরব রয়েছেন তাদের মধ্যে এরদোয়ান অন্যতম।
দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
তার্কিস প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এছাড়া ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দখলদার ইসরায়েল দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এছাড়া গাজাবাসীর ওপর বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছিল তারা। সেগুলোর জবাব দিতে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। তাদের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন।