ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে গিয়ে হেনস্তা শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। পরে হাসনাত উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে নিজেই হাতাহাতির মধ্যে পড়ে যান।
এ সময় ঘটনাস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসনাতকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। পরে তিনি সংঘর্ষ এলাকা ছেড়ে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এ দিন বিকেলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে রোববার রাত ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিল প্রতিরোধ করতে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে নীলক্ষেত মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। এরপর শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া। রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় এক পথচারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।