সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কোনো খবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম। সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
এসময় এক প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কোনো খবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
গত ২১ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রোড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অবশ্য কবে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তা জানাননি অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম আরও জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা সংক্রান্ত দুদকের কোনো চিঠি পৌঁছায় নি। তার দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়েও কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই।
সম্প্রতি সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সংস্থাটি জানিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ফাউন্ডেশনের করমুক্ত করা ও মানুষকে জোর করে চাঁদা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদক মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক গত ২৬ জানুয়ারি জানান, দৈত্ব নাগরিক হয়েও পুতুলের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম আরও জানান, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজারের মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ শ্রমিককে প্রথম ধাপে নিতে রাজি হয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে বাংলাদেশি নারী ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দূতাবাস।