Monday, December 23, 2024

যে কারণে ১১ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো শিবিরকর্মীর মরদেহ

আরও পড়ুন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  জামার ভেতরে কী পরেছ, সব তো দেখাই যাচ্ছে— ছাত্রীকে রাবি শিক্ষক

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে। এরই প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই চারজনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ইউপি চেয়ারম্যানকে জুতার মালা গলায় দিয়ে বাজার ঘুরালেন বিক্ষুব্ধ জনতা

মামলার বাদী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি এবং আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আমরা ঘটনার সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করি। এতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগী ও প্রশাসনের গুলিতে আমার ভাইসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘটনার পর আমরা এ হত্যার বিচার চাইলেও আসামিদের প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো বিচার পাইনি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবেল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। কবরের মাটির মধ্যে হাড়ের সঙ্গে একটি গুলিও পাওয়া যায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ