এলাকার মানুষের পাশে থেকে বরাবরই আলোচনায় থেকেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর পৌরবাসীকে একের পর এক ভালো কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি শহরের যানজট নিরসনে নেমে মামলার আসামি হওয়ায় শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, চলতি মাসের ২২ মার্চ (শুক্রবার) শহরের যানজট নিরসনে সশরীরে মাঠে নামেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম। দিনভর শহরের ব্যস্ততম পয়েন্টে পৌর কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অবস্থান নেন তিনি। পথচারীদের দুর্ভোগ কমাতে সচেতনতামূলক মাইকিং ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেন এ পৌর মেয়র।
এ সময় শহরের চাইনা বেডিং এর সামনে রাস্তার ওপর টিপু সুলতান নামের এক পথচারী মোটরসাইকেল রাখলে, মেয়র তাকে এমনটি করতে নিষেধ করেন। ক্ষিপ্ত পথচারী টিপু সুলতান বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রপতির মোটরসাইকেইল’। এ সময় মেয়রের সঙ্গে থাকা লোকজন টিপু সুলতানের ওপর চড়াও হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র অনেক চেষ্টা করে দুপক্ষকে সামাল দিতে ব্যর্থ হন। এরপর পথচারী টিপু সুলতান আহত হলে মেয়র আশরাফ দ্রুত থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন ও আহত টিপু সুলতানকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার তিনদিন পর টিপু সুলতানের মা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে মেয়র আশরাফকে ১ নম্বর আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এরপর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দেখেছি। মেয়রের কোনো দোষ আমার চোখে পড়েনি। পরে শুনলাম মেয়রের নামে মামলা হয়েছে। এটা আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী রিজিয়া বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শহরবাসীর জন্য আমি রোজা থেকে যানজট নিরসনে সারাদিন শহরের রাস্তায় রাস্তায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। দুপুরে আমার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে টিপু নামের একজন পথচারীর দ্বন্দ্ব হলো, সেখানে মামলা হলো আমার নামে। আমি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এটা দুঃখজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ। তিনি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।