Tuesday, December 24, 2024

মিজানুর রহমান আজহারীকে লেখা চিঠি মিলল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে

আরও পড়ুন

মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাক্ষাতের মনোবাসনা পূরণের আশায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি লিখেছেন এক ব্যক্তি।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।

এ সময় দানবাক্সের টাকাগুলোর সঙ্গে বেশকিছু চিঠি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি চিঠিতে নামপরিচয় বিহীন একজন লিখেছেন- ‘১২ বছর ধরে আমার এই কষ্ট শুধু কুফরি জ্বালা। যারা আমারে এই কষ্টে জ্বালায়ছে, আমি তোমার কাছে তাদের বিচার চাই না। বিনিময়ে আমার নামাজের সোওয়াব তাদেরকে দিয়ে দিও।

আরও পড়ুনঃ  আ’লীগ সমর্থক সাড়ে ৩ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ পেতে যাচ্ছে

আমি মানুষের ক্ষতি করতে চাই না। আমি শুধু তোমাকে চাই আল্লাহ। তুমি আমার আল্লাহ। আমার জীবনের ইসলামের নায়ক মিজানুর রহমান আজহারী। আল্লাহ আমার মরণের আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত চাই।’

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ মাস ২৬ দিন পর আজ সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুনঃ  আমাদের লাশের ওপর এক ইঞ্চি বাংলাদেশও আপনাকে দেওয়া হবে না : হাসনাত

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ