‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসা বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এ বিষয়ে আর বেশি দিন ধৈর্য না ধরার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
তাঁরা আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন। সেটি না হলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে স্থায়ী কমিটির সভার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে কত দিন লাগবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। কোনো ছলচাতুরী করা যাবে না। জনগণ এই সরকারকে দীর্ঘদিন মানবে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো কথা বলছে না। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা বলেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা উদ্গ্রীব হয়ে পড়েছি। এখন আমরা যদি বলি, আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন।’
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একাধিক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্য এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারও কারও কার্যক্রম নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য, রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে দীর্ঘসূত্রতাসহ সরকারের নানা কর্মকাণ্ড নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে করা সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাবের বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামীকালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করতে হবে। বিএনপি আজকের মধ্যে চারজনের নাম ঠিক করবে।
গত সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভা হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।