Monday, December 23, 2024

ভারত থেকেও দেশে অসংখ্য রোগী আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমাদের চিকিৎসকদের যে ভালো মেধা আছে তার অসংখ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এরকম নয়, ভারত থেকেও আমাদের দেশে অসংখ্য রোগী আসছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।

আরও পড়ুনঃ  তিনটি শ্রেণিতে বন্ধ হচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আজ যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদের সেবা দেয়া। চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।

এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না। একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপর নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।
তিনি বলেন, আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই তারা খুশি। রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং ভালো চিকিৎসা প্রদান করা যায়।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তিপণ পেয়ে ৯টি বোটে পালিয়ে যায় ৬৫ জলদস্যু

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, উত্তম আচরণ হলো ন্যায়-অন্যায় আর আসল-নকলের পার্থক্য করা। আমার উচিত অন্যের সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করা, যেমনটি আমি অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি। সবসময় ন্যায়কে ন্যায়, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারাই নৈতিকতা। অনৈতিকতা হলো নৈতিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত। নৈতিকতার অভাবে দেশ ও জাতির উন্নতি ব্যাহত হয়, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথ স্থানে পৌঁছাতে পারে না এবং অযোগ্যদের আস্ফালন বৃদ্ধি পায়। যোগ্য ব্যক্তিরা হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখন কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

আরও পড়ুনঃ  ব্যারিস্টার খোকনসহ বিএনপিপন্থি ৬৬ আইনজীবীকে অব্যাহতি

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ