Monday, December 23, 2024

‘ভাগিনাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাই লাশ হয়েছে’

আরও পড়ুন

রাজধানীর বেইলি রোডে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সকাল থেকে চলছে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের কার্যক্রম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে স্বজনের নিথর দেহ বুঝে নিচ্ছে পরিবার।

এই আগুনে মারা গেছেন ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি জুয়েল। লাশ নিতে এসে তার ভাই বললেন, ‘ওই রেস্টুরেন্টে আমার ভাই জুয়েল বাবুর্চির কাজ করতো। আর ভাগিনা রাকিব ছিল ম্যানেজার। আমার ভাই ভাগিনাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই লাশ হয়েছেন।’

আরও পড়ুনঃ  ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি

এদিকে ৪৫ জনের ৩৯ লাশের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও বাকি ছয় লাশের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৩১ লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৯ জনকে শনাক্ত করে ৩১ লাশের কোনও ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  এনআইডি সংশোধনে মাঠ কর্মকর্তাদের আল্টিমেটাম

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ছয়টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। তাই তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে, শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনজুড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কিছু। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ