বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ী অনশনে বসেছে নাসিমা আক্তার অনন্যা (২১) নামে এক সন্তানের জননী। দাবি না মানলে সাথে থাকা ব্যাগে কীটটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। এদিকে তাকে দেখে পালিয়েছে প্রেমিকোর পিতা-মাতা সহ পরিবারের লোকজন। এই বিষয়ে অনন্যা থানায় লেখিত অভিযোগ করেন।
শুক্রবার সকালে এই ঘটানাটি ঘটেছে প্রেমিকের বাড়ী নোয়াখালী হাতিয়ার চরঈশ^র ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামে। প্রেমিক আতিকুল ইসলাম রাসেল (২৫) একই এলাকার শের আলীর ছেলে । প্রেমিকা নাসিমা আক্তার অনন্যা ভোলা জেলার সদর উপজেলার পৌর কাঠালি এলাকার মৃত আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
এদিকে ঘটনাটি যানাযানি হয়ে যাওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোরকা পরিহিত মহিলা ঘরের সামনে বসে আছে। এলাকার অনেক নারী পুরুষ তাকে দেখতে এসেছে। এসময় প্রেমিক রাসেলদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ঘরে দরজা বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি সকাল থেকে রাসেলদের বাড়ীতে অবস্থান করছে। তাকে বিয়ে করা না হলে সে বীশ প্রাণে আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় ছেলের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। এলাকার লোকজন তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেছে। তারা বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না। ইতিমধ্যে থানা থেকে পুলিশের লোকজন এসেছে।
প্রেমিক অন্যন্যার সাথে এসেছে তার বোনের জামায় ইসরাফিল। ইসরাফিল জানান, চার বছর আগে ঢাকাতে গামের্ন্টেন্সে চাকুরীর সুবাধে দুজনের পরিচয়। শুরু হয় মন দেওয়া নেওয়া। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাকুরিচ্যুত করা হয় প্রেমিক রাসেলকে। কিন্তু এরপরও তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন জায়গায় স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করেন। অন্যন্যা বিবাহিত সে এক সন্তানের জননী। এক বছর আগে রাসেলের সাথে প্রেমের সর্ম্পককে কেন্দ্র করে তাদের ছাড়াছাড়ী হয়ে যায়। এখন রাসেলও তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে রাসেল নিয়মিত অনন্যার ঢাকার বাসায় যাতায়াত করতেন। হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় অনন্যা ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাড়ী চলে এসেছে।
অনন্যা জানান, রাসেলের সাথে তার দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক। এক সন্তানেরর জননী সে। রাসেল তাকে বিয়ে করবে বলে দীর্ঘদিন থেকে শারিরিক সর্ম্পক চালিয়ে আসছে। রাসেলের দেওয়া বিয়ের আশ^াসে সে পূর্বের স্বামীকে ত্যাগ করে। এর আগে রাসেল বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় । এখন রাসেল তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য ঠিকানা সংগ্রহ করে সে রাসেলের বাড়ীতে এসে অবস্থান করছে। তাকে বিয়ে করা না হলে সে বীশ প্রাণে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা (উপ-পরিদর্শক) আক্তারুজ্জামান বলেন, নাসিমা আক্তার অনন্যা নামে এক মহিলা থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। রাসেলের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য ছেলে পক্ষকে খোঁজা হচ্ছে।