সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত খোদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তা, তিন কর্মচারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সেই ঘটনায় তদন্ত করছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। পিএসসির একটা সূত্রে জানা যায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হতে পারে। সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই পরীক্ষা বাতিল করবে পিএসসি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পিএসসি। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খানকে। কমিটির সদস্য পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হককে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কোনো নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মিললে তা বাতিল করা হবে৷ আবার প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ না মিললে তা জোর করে বাতিল করারও সুযোগ নেই। আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন সবার সামনে তুলে ধরা হবে।
‘বিসিএস প্রিলি-লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার, নন-ক্যাডারসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে।
টিভি চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ কয়েকটি অভিযোগে পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা এখন কারাগারে।