Monday, December 23, 2024

নতুন রাষ্ট্রপতি আনতে দুই দিনের সময় নিলেন সারজিস-হাসনাত

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় চেয়ে নিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করেন যে আগামী দুই দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য দেওয়া বক্তব্যে তারা এ কথা বলেন।

সেখানে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ষড়যন্ত্রকারী মো. সাহাবুদ্দিনকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু পরবর্তী রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত হওয়ার আগে যদি এই রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রপতিহীন করে ফেলা হয় তাহলে বিদেশি শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমরা তা হতে দেব না। তাই আগামী দুই দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার সবার সঙ্গে কথা বলে এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি করা হবে যাকে নিয়ে কোনো বির্তক থাকবে না। তারপর সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। এ জন্য আমাদের দুই দিন সময় দিন।

আরও পড়ুনঃ  ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতেই ঢাকা ছাড়*ছেন ড. ইউ*নূস

রাত সোয়া ১২টায় পর্যন্ত দেখা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের দুই দিনের সময় নেওয়া পর বিক্ষোভকারীদের একাংশ চলে গেলেও অন্যরা বঙ্গভবনে সামনে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলন করছে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ছাত্রজনতা। রাত ৮টার দিকে তাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় আগুনকে ঘিরে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

সেখানে সরেজমিনে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল থেকে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রজনতা আন্দোলন করেন। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন উপদেষ্টাদের আশ্বাসে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে যান। তবে আরও কয়েকটি সংগঠন তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। এর মধ্যে রাত ৮টার দিকে কিছু আন্দোলনকারী বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় গাছের শুকনো ডালে আগুন ধরিয়ে পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন।

আরও পড়ুনঃ  পরকীয়া করতে গিয়ে গণধোলাই খেলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে সতর্ক অবস্থায় ছিল।

সেখানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা।

আরও পড়ুনঃ  নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

তবে সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’

এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ