নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণের পর অশ্লীল কথা, খারাপ ব্যবহার ও অপবাদ সইতে না পেরে ঝুমা (১১) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার সকালে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী মনিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঝুমা আক্তার কদমশ্রী গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেনকে (১৬) সন্ধ্যায় আটক করেছে পুলিশ। মনোয়ার হোসেন একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রুপ্তন মিয়ার ছেলে।
শিশুটির মা আল্পনা আক্তার বলেন, ১১ মে রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ে বাড়ির সামনের দোকানে যায় মশার কয়েল আনতে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা রুপ্তনের ছেলে মনোয়ার আমার মেয়েকে ইয়াকুবের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে এ ঘটনা আমার কাছে বললে ভয়ে কারও কাছে বলিনি। এরপর থেকে আমার মেয়েকে রাস্তায় একা পেয়ে মনোয়ার নানা ধরনের কথা বলে।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে বাড়ির সামনে গেলে মনোয়ার খারাপ খারাপ কথা বলে। এসব অপবাদ সইতে না পেরে আমার মেয়ে আজ সকালে (শুক্রবার) বিষ খেয়ে বাড়ির সামনে পড়ে থাকে। পরে আমরা তাকে মদন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী বুশরা আমীনা বলেন, কীটনাশক পান করায় ঝুমা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে।
মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জল কান্তি সরকার বলেন, বিষপানে এক শিশু আত্মহত্যা করেছে। মনোয়ার হোসেন নামে একজন কিশোর তার সঙ্গে অপকর্ম করার অভিযোগ ওঠায় তাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্রঃ একুশে বার্তা