দেশবাসী আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান।
সংলাপের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘অপপ্রচার মোকাবিলায় আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারও পাতা ফাঁদে পা দিব না। কারও কাছে মাথা নত করবো না, আবার সীমালঙ্ঘনও করবো না। দুই একদিনের মধ্যে সুখবর পাবেন আশা করি।’
সরকারকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। সরকার যাতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করবো।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বিজয় এসেছে, চলমান ষড়যন্ত্রও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’
এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের চলমান নানা ইস্যুতে আলোচনার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসতে শুরু করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন।
অন্য সদস্যরা হলেন: ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্যদিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ সেখানে পৌঁছান। তবে কর্নেল অলি ফেরত চলে যান। দল জানিয়েছে, তালিকায় নাম না থাকায় তিনি প্রবেশ করতে পারেননি।
এছাড়া অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন সংলাপে। তবে সংলাপে জাতীয় পার্টিকে সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।
এর আগে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।