Tuesday, December 24, 2024

ডিবি হারুনের বিলাসবহুল রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান

আরও পড়ুন

আলোচিত ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের মালিকানাধীন শতকোটি টাকার প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সিআইসি টিম।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের পাশে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে এ অভিযান চালায় এনবিআরের সিআইসি টিম।

এনবিআর (সিআইসি) পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

অভিযান শেষে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের সঙ্গে এনবিআর সদস্যরা কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ  জীবনে রাজনীতি না করা ব্যক্তিকেও আওয়ামী লীগ ‘সাজিয়ে’ মামলা

অভিযান বিষয়ে এনবিআর (সিআইসি) পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এনবিআর (সিআইসি) শাখার ৮ সদস্যের একটি টিম আয়কর ও আইন ২০২৩ এর ২০৪-২০৬ ধারা অনুযায়ী জরিপ এবং তল্লাশি করেছে। আমাদের কাছে রিসোর্টে বিনিয়োগকারী যেমন সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের মা-বউ-শ্যালকদের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তথ্য ছিল। যা তদন্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। রিসোর্টের জমির পরিমাণ মাপা হয়েছে। অভিযানের সময় রিসোর্ট থেকে ৪০টি ফাইল এবং কম্পিউটারের ৪টি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে। এ অভিযানে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে কোনো সিলগালা করা হয়নি। রিসোর্টে রাজস্ব আয়কর ফাঁকি বিষয়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ১০ সেকেন্ডের ভিডিওতে মার্কিন মডেলকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তুললেন শাকিব খান

মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঢাকা থেকে আসা এনবিআর টিম রাজস্ব ফাঁকি এবং অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করেছেন।

এর আগে কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশিদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল-সিআইসি।

গত ২১ অক্টোবর সিআইসি থেকে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাতে সাবেক ডিবি প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশনা দেয়। হারুন ছাড়াও তার বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবও জব্দ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ