Monday, December 23, 2024

ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জেরে ‘নাপা খেয়ে’ আত্মহত্যার চেষ্টা ঢাবি ছাত্রীর

আরও পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বকাঝকা ও হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জোর করে প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী কয়েকটি নাপা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনার পর রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সুফিয়া কামাল হল শাখা সেক্রেটারি ব্লকের গণরুমে থাকেন এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী মালিহা সিনথিয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় সুফিয়া কামাল হলের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী সৈয়দা মেহেজাবীন সারা ভুক্তভোগীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে টিএসসিতে প্রোগ্রাম করতে আসেন। পরবর্তীতে এই ঘটনার জের ধরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওই ছাত্রী ৭ থেকে ৮টি নাপা ওষুধ খান এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে সহপাঠীরা তাকে হল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে রাতেই হলে ফিরেছেন।

আরও পড়ুনঃ  কান্তজিউ মন্দিরের জমিতে নির্মাণ হচ্ছে মসজিদ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০২নং ওয়ার্ডের ভর্তি তালিকায় রাত ১টা ১০ মিনিটে ভুক্তভোগীকে ভর্তি করার তথ্য পেয়েছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। ঘটনার কথা স্বীকার করে হলের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এবং সৈকতের অনুসারী মালিহা সিনথিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সারা আপু সবার সাথেই একটু রাগারাগি করেন। সেক্রেটারি ব্লকে একজনের কর্মীদের আরেকজন নিয়ে যেতে পারেন, তাই সারা আপুও নিয়ে গিয়েছিল। তবে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে গালাগালি এবং হুমকির বিষয়টি সত্য।

আরও পড়ুনঃ  নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল হাবিবার লাশ নিহত উম্মে হাবিবা

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নাপা খাওয়ার কারণ যে জোর করে প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়া এ ব্যাপারে সে আমাকে কিছু বলেনি। সে অনেকগুলো ওষুধ খেয়েছে জানার পর আমরা তাকে মেডিকেলে নিয়ে গেলে ট্রিটমেন্ট করে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে সিনথিয়া বলেন উপর থেকে না করে দেওয়ার কারণে এ ব্যাপারে সারা আপু কিছু বলছে না।

এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছেন, আমি সেক্রেটারি স্কোয়াডে থাকি এবং তানভীর হাসান সৈকত ভাইয়ের রাজনীতি করি। সারা আপু আমাকে অনেকবার জোর করলেও আমি তার প্রোগ্রামে যাই। আজ সে আমাকে জোর করে নিয়ে গেলে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে অতিরিক্ত চিন্তার এক পর্যায়ে অনেকগুলো নাপা খাই। পরবর্তীতে বন্ধুরাসহ আপুরা আমাকে মেডিকেলে নিয়ে আসে। আমি কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এই কাজ করিনি।

আরও পড়ুনঃ  সোমালীয় জলদস্যুতার পর বেরিয়ে এলো কুতুবদিয়ায় জাহাজ লুটের খবর

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শয়নের অনুসারী ওই হলের ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী সৈয়দা মেহজাবীন সারা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের এই প্রতিবেদককে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আপনার কাছে প্রমাণ থাকলে আপনি আমার সাথে দেখা করেন প্রমাণ নিয়ে।

জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে ফোনে কথা বলেন না বলে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ