Monday, December 23, 2024

ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭

আরও পড়ুন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় পাল্টাপাল্টি হামলার ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইব্রাহিম মাসুম (২৮) নামের ছাত্রদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের কাঁচিহাটা বাজারে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রদল কর্মীরা সোহেল নামের এক মাদক সেবনকারীকে আটক করে পরিবারের কাছে তুলে দেন। ওই ঘটনার জেরে সোহেলের পক্ষ নিয়ে শিবিরের কয়েকজন কর্মী এসে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর হামলা করে। ওই সময় হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতা মাসুমের পায়ে গুলি করে। ওই সময় আরও পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুনঃ  কী আছে সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর সুরতহাল প্রতিবেদনে

আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মাসুম বলেন, আজ দুপুরের দিকে একই এলাকার মো. সোহেলকে ইয়াবা সেবনকালে ছাত্রদলের কয়েকজন হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় এলাকার মুরুব্বিরা তাঁকে হালকা মারধর করে তাঁর পরিবারের কাছে সোপর্দ করেন।

তিনি বলেন, সোহেল একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করেন। যার কারণে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁর পক্ষ হয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অতর্কিত তিনিসহ ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান।

আরও পড়ুনঃ  গু*মে শেখ হাসি*নার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমি*শন, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যে ছেলেটাকে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক আগে তিনি ছাত্রদল করতেন। ছয় মাস আগে তিনি জামায়াতে যোগ দেন। এ জন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করেছে তা আমি জানি না।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবক লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ