চট্টগ্রামে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখনো মার খেতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর জিইসি এলাকায় খুলশী ১নং রোডে পাজারো জিপ চালকের হামলার শিকার হয়েছেন সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল সোহরাব হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে খুলশী ১নং রোডে উল্টো দিক থেকে এসে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে কর্তব্যরত সোহরাব হোসেন নামে এক কনস্টেবল সিগন্যাল দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির চালক কনস্টেবলের শার্টের কলার ধরে মুখে ঘুষি মারেন। এসময় তার নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয়। ইউনিফর্মও ছিঁড়ে যায়। পরে চালক ও গাড়িসহ থানায় সোপর্দ করে ছাত্ররা।
দায়িত্বরত অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উল্টো দিকে আসা পাজারো জিপের কারণে ১নং সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন দায়িত্বরত ট্রাফিক সোহরাব হোসেন তাকে দাঁড়ানোর সিগন্যাল দেন। চালক না থামিয়ে পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন।
পরে চালকের দরজার পাশে গিয়ে কথা বলতে চাইলে চালক গ্লাস নামিয়ে তোরা বেড়ে গেছস বলে নাক বরাবর ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে তাকে কলার ধরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্ররা ব্যারিকেড দেয়। তখন চালক গাড়িটি সড়কের ওপর রেখে পলিয়ে যায়। এ খবর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে গাড়ির
উপপুলিশকমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জয়নুল আবেদীন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটে যাওয়া ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে আমরা অনুরোধ করে দায়িত্বপালন করাচ্ছি। এর আগে আমাদের সন্তানরা কাজটি করেছিল।
তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতায় ট্রমা কাটিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সড়কে ফিরেছে। চালকের ঘুষিতে আমারা ট্রাফিকের নাকের কোনো একটি হাড় ভাঙতে পারে বলে ধারণা করছি। এখন সে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চালক ও গাড়ি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা জনতার পুলিশ হয়ে কাজ করবো এটাই আমাদের নতুন বাংলাদেশে অঙ্গীকার।