কোমল পানীয় ব্র্যান্ড কোকা-কোলা বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচিত ও সমালোচিত হচ্ছে। বিজ্ঞাপনটিতে মডেল হিসেবে ছিলেন অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আবদুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ।
এদিকে কোকাকোলা বয়কটের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীদের বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে অনেকে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
বয়কটের তোপের মুখে পড়ে কোকাকোলা বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেছে কাজ করার বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন। সোমবার (১০ জুন) রাতে এ অভিনেতা তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্ট করে দাবি করেছেন যে তিনি ইসরায়েলের পক্ষে কোন কাজ করেননি।
পোস্টে শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে আমি নির্মাণ ও অভিনয়ের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি।’
এ অভিনেতা জানান, ব্যক্তিগত জীবনে সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং সবার অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছে। বিজ্ঞাপনে এ অভিনেতা কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নেয় নি এবং তিনি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে না বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি তার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ আমার সাথে তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য নিয়োগ করেছিলো। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।’
তবে এ পোস্ট দেওয়ার পর কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণে মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
আমিরুল মোমেনীন মানিকের ভাষ্য, ‘ইসরায়েলের নাম দুবার লিখলেন কিন্তু ফিলিস্তিনের নাম একবারও বললেন না, ব্যাপার কী? ভাসুর, তাই নাম নিতে সমস্যা! যদি কাজটাকে ভুল মনে করেন তবে সোজাসুজি বলে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সম্মান বাড়বে বৈ কমবেনা।’
সনিয়া নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ইউ বয়কট পেশাগতর দোহায় দিয়ে পার পাবেনা, তুমি মানুষের অনুভূতিতে আগাত করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার দৃঢ়তা দেখাতে পারলে মানুষ তোমাকে বয়কট ও করতে পারবে।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ জনগণ। এদিকে এর মাঝে কোকাকোলা বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।