Sunday, January 26, 2025

কিশোরগঞ্জের হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা, সৃষ্টি হচ্ছে বিশ্বরেকর্ড!

আরও পড়ুন

আবারও আলোচনায় কিশোরগঞ্জের হাওরের বিষ্ময় হিসেবে পরিচিত অলওয়েদার সড়ক। এবার হাওরের মাঝখান দিয়ে নির্মিত অলওয়েদার সড়কের মিঠামইন উপজেলার জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকা হচ্ছে। আর এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা তৈরির বিশ্ব রেকর্ড।

পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরতেই দেশের বৃহত্তম এই লপনা উৎসব ‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’ এর আয়োজন।

এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং বার্জার পে্পইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড যৌথভাবে ব্যতিক্রমী এই আলপনা উৎসবের আয়োজন করে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষে উদ্বোধন হবে দীর্ঘতম এই আলপনা। এদিন সকাল সাড়ে ৮ টায় মিঠামইনে আলপনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ‌মেদ পলক। কিশোরগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার এমপি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানসহ বিশিষ্ট জনেরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন।

আরও পড়ুনঃ  মেট্রোরেলে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের ক্যান্টিন ভাড়া মাত্র ১ হাজার টাকা!

এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল সকালে আলপনা আঁকা শুরু হয়। চারুকলার সাত শতাধিক শিল্পী সড়কে আলপনা আঁকার কাজ শুরু করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।

আয়োজকরা জানান, রঙ-তুলির আঁচড়ে বাঙালি সংস্কৃতি দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতেই দেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১।’ আয়োজন করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা অঙ্কনের মাধ্যমে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা তৈরির বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

আরও পড়ুনঃ  যমুনা সেতুকে ‘শহিদ আবু সাঈদ সেতু’ নামকরণের দাবি

বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের মিডিয়া রিলেশন ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান জানান, ১৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাত শতাধিক দক্ষ শিল্পী কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে আলপনা আঁকার কাজ শেষ করেন।

তিনি বলেন এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা। আলপনা শেষ হওয়ার পর পহেলা বৈশাখ আলপনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তারপর সকল প্রক্রিয়া শেষ করে যথাযথ ভাবে ওয়ার্ল্ড বুক অব গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করবে আয়োজক ৩ কোম্পানি। এর পর ওয়ার্ল্ড বুক অব গিনেজ কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ