টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান। কারাগারে বন্দি থেকেই একের পর এক আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
আন্দোলন ও জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো ক্ষমতাসীন দলের আতংকে পরিণত হয়েছেন তিনি। এবার কারাগারে থেকে ‘চূড়ান্ত আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে থেকে ‘চূড়ান্ত আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। আগামী ২৪ নভেম্বর রাজধানী ইসলামাবাদে কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
ডন জানায়, ইমরান খান এই আন্দোলনকে কারচুপি করা নির্বাচনী ফলাফল, অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের ২৬তম সাংবিধানিক সংশোধনী পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে ইমরান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার সমর্থকরা দেশজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও বারবার গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
ইমরান খানের বোন আলিমা খান বুধবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানান, এই আন্দোলনের ডাক সবার জন্য বিশেষত দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য। ইমরান খান বলেছেন, ‘এটি সেই মুহূর্ত যখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি সামরিক শাসনের অধীনে থাকতে চান, না কি স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচতে চান।’
অপরদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহসভাপতি শেরি রেহমান ইমরান খানের এই আহ্বানকে ‘উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরিবর্তে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা।
ইমরান খানের এই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলেছে।