বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে না পালিয়ে আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আজ তিনি কোথায়? আমার বাসায় না এসে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়েছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারে দাবিতে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মামলার কারণে ১১ বার জেলে গিয়েছি। তবে জমি দখল ও লুটের নয়, সব রাজনীতির মামলা। ঠাকুরগাঁওয়ের ৭ হাজার বিএনপির নেতকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এরকম সারাদেশে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সারাদেশে প্রায় ৮০০ নেতা ৮০০ কর্মীকে গুম করে দিয়েছে তারা। পুলিশকে দিয়ে থানায় নিয়ে পায়ের মধ্যে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এবারের ছাত্র আন্দোলনে পাখির মত গুলি করা হয়েছে। এতে অনেকের চোখ অন্ধ ও হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। আইন ব্যবস্থা বলতে কোনো কিছু ছিল না।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অনেকের জমি দখল করে চা বাগান বানিয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গীতে ১২টি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তারাই জড়িত। অথচ দোষ চাপিয়েছে বিএনপির ওপর।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি কোনোদিন দেশ ছেড়ে পালবো না। তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। তাড়াতাড়ি করে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়েছে ভারতে। আওয়ামী লীগ এত খারাপ কাজ করেছে তারা দেশে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পালিয়ে যাইনি, জেল খেটেছেন। ওনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে যার কারণে আজও তিনি অসুস্থ্য।
তিনি অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ সরকারের কাজ হলো মানুষের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করা। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আইন ব্যবস্থাকে ঠিক করা।
এতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও -২ আসনের সাবেক এমপি জেট মর্তুজা তুলা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হায়াত নুরনবী, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি ও ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, সহসভাপতি হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক মকবুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুলফিকর আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবু সাইদ প্রমুখ।
এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।