ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি যুবলীগ নেতা হালিম মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তার কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের কবজি কামড়ে দেন হালিম।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হালিম মিয়া উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের আবদুর কাদিরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও পুলিশ আহত করার ঘটনায় মামলা আছে। মাসুদ মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলার আসামি তিনি। রোববারের ঘটনায় হালিমের বিরুদ্ধে থানায় নতুন আরেকটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায়।
আসামিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে
নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির কালবেলাকে বলেন, ‘যুবলীগ নেতা হালিম মিয়া একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি হালিমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪টি মামলা আছে।
এ ছাড়া চাঁদাবাজির মামলার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় পেছন থেকে তার লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হালিম আমার হাতের কবজিতে কামড়সহ পুলিশের আরেক সদস্যের মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান।’