Monday, December 23, 2024

এক রঙের পাঞ্জাবিতে ঈদের মাঠে ২০০ মুসল্লি

আরও পড়ুন

টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পর দেশব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন চলছে। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর বাগমামুদালী পাড়ার ২০০ মুসল্লি এক রঙের পাঞ্জাবি পড়ে ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

‘এসো মিলি ভাতৃত্ত্বের টানে’-স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও ওই এলাকার সবাই এক রঙের, এক ডিজাইনের পাঞ্জাবি পড়ে ঈদগাঁহ মাঠে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাঠজুড়ে করা প্যান্ডেল ভর্তি ছিল ৬ শতাধিক মুসল্লি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আরও পড়ুনঃ  ২৫ বছর ধরে করেন ইমামতি, এখন বেতন পান ১৫০০ টাকা

উত্তর বাগমামুদালী পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ জাকারিয়া খুতবা পাঠের পর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।

উত্তর বাগমামুদালী পাড়ার বাসিন্দাদের আয়োজনে ছোট বড়, ধনি-গরিব সবাই বিভেদ ভুলে প্রায় ২ শতাধিক এক রঙের পাঞ্জাবি পরে ঈদের জামাতে অংশ নেন। এক রকম পাঞ্জাবি পরে একত্রে নামাজ আদায় করতে পেরে এলাকার বাসিন্দারা খুশি। নামাজ শেষে কুলাকুলিসহ সবাই কুশল বিনিময়ে, ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ঈদের নামাজ আদায় শেষে আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দা আলআমিন ও সালেহিন বলেন, গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও আমরা এলাকার সবাই একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেছি। এটা আল্লাহর বড় নেয়ামত বলে আমি মনে করি। আমরা যেন ঈদ ছাড়াও সবার সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে পারি আল্লাহর কাছে এটাই চাই।

আরও পড়ুনঃ  গাজীপুরে যুবলীগ নেতাকে বেধড়ক পিটুনি

উত্তর বাগমামুদালী পাড়ার মোহাম্মদ সুজন বলেন, এই ঈদের জামাতে এতো লোক আগে কখনো হয়নি। এলাকার সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে পারা নিয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দা রতন, শুভন, রুবেল, মাকসুদ, রিগান, প্রমিজ, আদর, রানা, জুয়েল, রুবেলসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, এবার অনেক বড় আকারে জামাত হয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, এলাকার ছোট বড় সব মুসলমান ভাইদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দ লাগছে। ভবিষ্যতেও যেন একত্রে থাকতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

আরও পড়ুনঃ  ১ টাকা লাভে ইফতারের ৬টি পণ্য বিক্রি করছেন বিল্লাল

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলো মাসুম বলেন, এলাকার ছোট বড় সকলের সঙ্গে নামাজ আদায় করলাম। খুব ভালো লাগছে। এলাকার অনেকেই আমার সমবয়সী। আমরাও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে সবাই সবার সঙ্গে এক হয়ে কাজ করে যাব। এটাই অনেক আনন্দের।

মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, আমরা উত্তর বাগমামুদালী পাড়া এলাকার সবাই মিলে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ