সিরিয়ায় অবস্থিত নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। যার জেরে টালমাটাল বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজার।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানে হামলার জেরে বিশ্বের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অন্যতম প্রধান বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ফের শত ডলারের ঘর ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্টক্রুড বিক্রি হচ্ছে ৮৯ ডলারে।
ইসরায়েলে ইরানে হামলার পর গবেষণা সংস্থা ইয়ারদেনি রিসার্চ এর প্রধান এড ইয়ারদেনি এক ব্যবসায়িক বার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এই সংঘাতের ঘটনায় ফের তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারে উঠে যেতে পারে যেভাবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিলো।
এছাড়া ইসরায়েলে ইরানের এই হামলার ঘটনার জেরে একই সঙ্গে ৭০ দশকের মত ফের বিশ্বে মূল্যস্ফীতি সঙ্কট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে এড ইয়ারদেনি বলেন, ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে যেভাবে পরবর্তী এক দশক ধরে বিশ্ব উচ্চ মূল্যস্ফীতির শিকার হয়, এবার ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে ঘিরে সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেয়ার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা দেয় আরব দেশগুলো। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলোতে তৈরি হয় জ্বালানি সঙ্কট। এর ফলে এসব দেশে ভোক্তা মূল্যসূচক বৃদ্ধি পেয়ে উঠে যায় দুই অংকের ঘরে। দেখা দেয় ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি, যার প্রভাব অনুভূত হয় পরবর্তী এক দশক পর্যন্ত।