ছোটবেলা থেকেই নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি। তার স্থূলকায় শরীর নিয়ে নানাজনে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করে চলেছেন। তবে স্থূলকায় হওয়া তার নিজের জীবনাভ্যাসের জন্য নয়।
শারীরিক জটিলতার কারণে শরীর মেদকায় হয়ে পড়েছে। নিজেকে ফিট করার চেষ্টাও কি অনন্ত করেননি? করেছেন অবশ্যই। মাঝে ১৮ মাস ডায়েট আর ফিটনেস চর্চার মাধ্যমে ১০৮ কেজির মতো ওজন কমিয়েছিলেন। কিন্তু সিভিয়ার অ্যাজমা তাকে এই ফিটনেস ধরে রাখার কার্যক্রমে সায় দেয়নি। আবারও বেড়ে যায় ওজন।
ছোটবেলায় অনন্ত আম্বানির ধরা পড়ে সিভিয়ার অ্যাজমা। এই রোগে সামান্য স্বস্তি পাওয়ার জন্য হাই ডোজের স্ট্যারয়েড নিতে হয়। এই স্ট্যারয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে ওঠে ওবেসিটি। মেদ বাড়ে। কমে যেতে পারে রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা। যতটা স্টেরয়েড তার শরীরের প্রয়োজন তার ঘাটতি হলে প্রেসারের সমস্যা হবে, খিদে কমে যাবে, চেহারা ভেঙে যাবে। সেই সঙ্গে নানা রোগের প্রকোপ দেখা যায় তার মধ্যে।
অ্যাজমার ধরণ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে অনেকেই এই রোগে দীর্ঘমেয়াদে ভুগতে পারেন। যাদের সিভিয়ার অ্যাজমা হয় তাদের জন্য ওবেসিটি ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
তবে সিভিয়ার অ্যাজমা কি?
রোগীদের আনুষঙ্গিক ওষুধ সেবনের পরেও শতকরা ৫%-১০% রোগীদের অ্যাজমার লক্ষণ থেকে যায়। স্বল্পসংখ্যক এই রোগীদের অ্যাজমার এই ধরণটি সিভিয়ার বা গুরুতর বলে বিবেচনা করা হয়। সিভিয়ার অ্যাজমা শ্বাসনালীর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্রঙ্কিয়ালের মসৃণ পেশিগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসকার্জে প্রধান ভূমিকা পালন করে। কারও সিভিয়ার অ্যাজমা হলে এই মসৃণ পেশীগুলোতে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা স্থান গ্রহণ করে যা শ্বাসনালীকে পাতলা করে তোলে। ফলে রোগীর কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুক চেপে আসা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সিভিয়ার অ্যাজমা রোগীদের খুব ঘন ঘন অ্যাজমা অ্যাটাক হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু মাইল্ড, এবং কিছু অ্যাটাক মারাত্মক আকার ধারণ করে।
সিভিয়ার অ্যাজমার ক্ষেত্রে করণীয়
কারও সিভিয়ার অ্যাজমা ডায়াগনোজ হলে ব্রঙ্কোস্কোপিক পদ্ধতির মাধ্যমে রোগের নিরাময় করা যায়। একজন দক্ষ পালমোনোলজিস্ট দিয়েই ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি করা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের সপ্তাহখানেকের মধ্যে সংকট নিরসন হলেও কিছু ঝুঁকিও থাকে।