Tuesday, December 24, 2024

আও’য়ামী লী’গের প্রতিবিপ্লব ক’রা’র ক্ষম’তা নেই: মাহ’বুব উদ্দিন খো’কন

আরও পড়ুন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা কিংবা সক্ষমতা কোনটিই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটি সফল হয়নি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

খোকন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা নেই। ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সরকার কাজ করছে। আমরা সরকারের সফলতা কামনা করি। তবে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত ও জনপ্রতিনিধির সরকার হবে তত তাড়াতাড়ি ষড়যন্ত্র কমে যাবে। আমরা ভারতকে অনুরোধ করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক রাখুন। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা একক রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রাখবেন না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এটি মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সবসময় শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরাও ভারতের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা জানাই। সেজন্য ভারতকে বলব আপনারা বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক রাখুন।

আরও পড়ুনঃ  আনার হত্যা; নেপালে ডিবি, সিয়াম আটক

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তারা ফুল দিতে আসেনি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা কেন আসেনি তারাই জানে। আওয়ামী লীগকে তো দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদেরকে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি এবং আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকেও বলা হয়নি আপনি পালিয়ে যান। আসলে বাংলাদেশ থেকে তারা ১৫ বছর গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে। যার কারণে গণঅভ্যুত্থানের পর ভীত হয়ে তাদের দলীয় প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তারা তো নেতা ও মন্ত্রী ছিল। তারা যদি সৎ হয় তাহলে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারতো। কিন্তু তারা এটি না করে বেআইনিভাবে ভারত পালিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবি শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়, মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি পুলিশ সদস্যের

শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খোকন আরও বলেন, দীর্ঘ নয় মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শেষ পর্যায়ে এসে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দেশের বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে। সেজন্য আমরা জাতীয়ভাবে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছি। কিন্তু যাদের ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের কথা আমরা অধিকাংশরাই মনে রাখিনি। তারা কি কারণে দেশের স্বাধীনতা চেয়েছে, কি কারণে মুক্তিযুদ্ধ করেছে আর কেনইবা নিজেদের জীবন দিয়েছে সেগুলো ভুলতে বসেছি। তারা জীবন উৎসর্গ করেছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক বৈষম্য, তন্ত্র মানবাধিকারের বৈষম্য কমাতে। তবে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত শহীদদের সেই চিন্তা চেতনার স্বপ্ন কল্পনাতেই রয়ে গেল। আমরা মনে করি শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজকের এই দিনে সকল রাজনৈতিক কর্মীদের শপথ নেওয়া উচিত ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ